সাত সকাল না, সাড়ে সাত সকালে উত্তরা থেকে রউনা দিলাম । অফিস এর উদ্দেশে । দুর্ভাগ্য প্রভাতী, স্কাইলাইন, কিম্বা আজমেরি এক্টাও পাইলাম না । ২৭ এ ভর করে উঠে পড়লাম । ভাবতে পারি নাই এত ভালুবাসা আমার কপালে আজকে ছিল !
রওনা হবার ৫ মিনিট পর শুরু হল সিগনাল দিয়ে । তারপর জ্যাম । মনে হইল সকাল থেকে ভাল বাসার ধুম পড়ছে । তারউপর পিকনিক এর পিনিক । ধিরে সুস্থে আসতে আসতে চউরাস্তার কাছা কাছি স্যার এর কল, কৈ আপনি ? উত্ত্র শুনে স্যার এর প্রথম কথা দ্রুত অফিসে যান প্রবলেম হয়সে । স্যার রয়েছেন সাতক্ষিরা, উনি বললেন প্রবলেম তার মানে সিরিয়াস । আমার তো ডানা নাই । বিরক্তির শুরু । চৌরাস্তা পৌছাইতে পৌছাইতে কল আসা শুরু । বড় বড় স্যারদের কল । মা কছম হাই বি পি উঠে যাবার উপক্রম । শফিপুর এসে আর নরে না গাড়ী । তারুপ্রে অফিস থেকে হুমকি । শেষমেশ সফিপুর থেকে হাটা স্টার্ট । হেটে এসে অফিসে ঢুকতে ঢুকতে হেডফিস এর কল । ওকে । হূড়মুড় করে এসে বড় স্যার কে স্বান্তনা দিলাম স্যার দেখতেসি আই এস পি এর প্রবলেম কথা বলসি । দ্রুত করেন । আমি সুপারম্যান হইলাম না ক্যান !
ব্যাকআপ লাইন দিয়ে শুরু হইল লাইন । চলতাসে আমি কাত …
দ্বিতিয় অধ্যায় ঃ
লিফট এর মধ্যে দুই বড় ভাই এন্ড সিনিয়র অফিসার এর সাথে দেখা । মিন্টু ভাই আর সোহেল ভাই । মিন্টু ভাই সোহেল ভাইরে বোঝাইতেসেন
> রাতে ভিজিয়ে রাখবেন, সকালে ভাল করে ধুয়ে ফেললে ফরমালিন সব নষ্ট হয়ে যাবে ।
সোহেল ভাই একমত পোষণ করলেন ।
আমার প্রশ্নঃ
- মিন্টু ভাই ফরমালিন যুক্ত মানুষের ক্ষেত্রে কি একই কথা প্রযোজ্য ?
= হ্যা
ভ্যাবচেকা খেয়ে আবার প্রস্নঃ
- ভাই ফরমালিনযুক্ত মানুষ দেখছেন ?
= হ্যা আমার জামা ধরে উত্তর দিলেন যাদের উজন আর আকৃতি বাড়েও না কমেও না একই রকম ফিক্সড, বুড়া হইলেও সেইরকম !
মাথা চুলকাইলাম, খুশি হব না ব্যাজার?
নিখোজ ভালবাসাঃ
বাইর হয়ে দেখি পাশের খালে একব্যাক্তি খুব আন্তরিক ভাবে ডাইং-এর কালারড ( ডিস্কালারড) পানির মধ্যে গলা ডুবিয়ে কি যেন খুজতেসেন । খালের পাশে দাঁড়িয়ে আরও অনেক ব্যাক্তিত্ব মজা লুটতেসেন ।
= বিষয় কি ? মিন্টু ভাইয়ের প্রশ্ন এবার আমার কাছে । পচা পানির মধ্যে ডুব দিসে ক্যান ?
আমি নিরীহ মানুষের মত উত্তর দিলাম, ভাই হারান ভালবাসা খুজতেসে মনে হয় ।
সোহেল ভাই গলা ছেড়ে হাসি দিলেন ।
= তাই না ? মিন্টু ভাই মনে হল একমত ।
মনে মনে বললাম করি গার্মেন্টস এ চাকরি, ভালবাসা খালের পানিতে ছাড়া কৈ আর খুজব !