Friday, November 14, 2014

কবিতাবাজি

রীতিমত পত্র পঞ্জিকা ঘেটে বাবা কাকা মা মরা ছেলের নাম রেখেছিল কাব্য মোহন । বাবার নিজের কবিতার ভূতের আসর ছিল, তবে কাব্য মোহনের কবিতায় মোহ ছিল না। তবে বাবা মরার আগের কথা রক্ষা করার জন্যে কাব্য মোহন নতুন করে কবিতা লেখার অনুশীলন শুরু করল, যাকে বলা যায় কঠিন অধ্যাবসয় ।
বললেই তো হয় না, কবিতা তো আর গঙ্গার জল না, মা স্বরসতীর আশির্বাদ সাথে নিজের উপরের খুপড়িতে উর্বরতা দুটোরই প্রয়োজন । কাব্য মোহন রাত জাগল, দিনে সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে নেয়ে হরেক পদের পাখিদের সাংসারিক, সামাজিক আলাপ শুনল তবে কবিতার ডাক শুনতে পেল না । তার এ অধ্যাবসয়ে বিরক্ত বিজ্ঞজন মতামত দিল ভ্রমণে বের হতে । ভ্রমণে বাড়ে অভিজ্ঞতা, আর তাতে অভিজ্ঞান হয়ত কবিতাও মিলে যেতে পারে ।

কাব্য মোহন ঘর ছাড়ল অভি্যাত্রীর বেশে, কবিতার খোজে ।

মাঠ দেখল, ডোবা দেখল, নদী নালা পুকুর, সরু সরল জটিল গরল সব প্রকার রাস্তাতে হাটল সে । রাত কাটাল জঙ্গলে পেচা পেচানীর হাতুম হুতুম প্যাচ-প্যাচানী শুনে ।  নেকড়ে নেকড়ীর খেকানি, শেয়াল শেয়ালীর চিল্লানী ... আহা অভিজ্ঞতা বাড়ল বটে কাব্য মোহনের, সব সংসারে পুরুষ নির্জাতনের । জঙ্গল ছাড়ল কাব্য মোহন । চলতে গিয়ে হাত ছড়ল পা ছিলে গেল । বনের লতা পাতা রাস্তার ধারের গাছের ছাল বাকল ঔষধ বানাতে বানাতে প্রায় কবিরাজ হয়ে গেল কাব্য মোহন, তবে কবি হতে পারল না এতদিনেও ।

কোন এক শহরের শুড়িখানার মাতাল একদিন বোঝাল, ভায়া কবিতা এমনি এমনি আসে না , ভেতর থেকে আসতে দাও আর সিদ্ধি ছাড়া কি সাধনা সম্পুর্ণ হয় নাকি ?

ব্যাস । পরের দিন থেকে কাব্য মোহন মাল্টিকালার ভাতের বদলে কাগজ তিনবেলা আর পানির প্রয়োজন কালি দিয়ে মেটান শুরু করল , আর সাধনার আবশ্যক উপাদান সিদ্ধি সকাল বিকাল কল্কের ফুটোতে ফটফট তামাক পোড়ান । মাতাল পিঠ চাপড়াল এবার হবেই ভায়া ।

কাব্য মোহন সসঙ্কোচে জিগ্যেস করে, তুমি নিশ্চিত দাদা ?

মাতাল কল্কের উদর চেপে পেছন দিকে সটানে টকটকে লাল চোখে জোর গলায় বলে গেল, আলবত হবে ভায়া !

কাব্য মোহন নিশ্চিত হতে না পারলেও তার উদরে যেন মেঘের ডাক আর বজ্রের ঝলকানি ।হবেই বা না কেন ? সাদা কাল মন্দ ভাল হরেক পদের কাগজ কালি তো বসে নেই, তারা যে কবিতা পাকাচ্ছে অন্দরে । দিনে দিনে সাধনা জোর হয়, আর মোহন হয় কমজোর ।

বেলা শেষে মোহনের উদরযন্ত্র উদারময়ের স্মরনাপন্ন হল । আর মোহন গেল হাসপাতালে । উপরে যম নিচে ডাক্তার মাঝে কাব্য মোহন । সাপ লুডু বল আর দড়ি টানাটানি, মোহন এপারে থাকল । এ যাত্রা কাব্য মোহন টিকে গেল ।

ঘরে ফিরে মোহন ঘোষণা দিল, ঢের হয়েছে । নিকুচি করি বাবার পিতিজ্ঞের, অনেক হয়েছে কবতেবাজি । গঙ্গায় গিয়ে কাব্য মোহন বাবার অসুখী আত্মার পিন্ডি দিল, ডুব দিল জলে আর গুণে গুণে দুইটা জিনিস ত্যাগ করল গঙ্গাতেই ।

নিজের নামের থেকে কাব্য আর মাথা থেকে কবিতার ভূত । 

Saturday, August 30, 2014

আমার বন্ধু নিল

আমার বন্ধু নিল ।
নীল কেন হল না ?
= ও তোর বোঝা লাগবে না ।
- না আমারই বোঝা লাগবে ।
আমার দিকে তাকিয়ে জিবে দিয়ে হাল্কা শব্দ করে করে,
= নারে তোর এন্টেনাতে ক্যাপচার করবে না ।
মাথার চুল ঘুরিয়ে এদিক ওদিক করে মুচড়িয়ে,
- এই নে ভাল মত টিউনিং করে নিছি, এখন বল ।
= ও তাই না?
- হ বলতো, ঢং করলে বাদাম ছিলে দেব না বলে রাখলাম ।
= আচ্ছা শোন ।
কান পাতলাম
= "ই" কার-এ একটা পজেটিভ ভাব আছে । আর "ঈ" কার-এ একটা নেগেটিভ নেগেটিভ গন্ধ করে ।
মাথার বিড়ে ( খোপা) সই করে এক থাপড়া লাগালাম ।
আমার বন্ধু নিল ।
আসলে নিল না, নীল ও না । ও হল নিলিমা । শান্ত, অবোধ, সরল, মিষ্টি...
= হইছে থাম ।
- না থামার কি আছে? তুই কি শান্ত না?
= মোটেও না । এই দেখ আমার কপালে কাটা দাগ, পিচ্চিকালে পেয়ারা গাছ থেকে পড়ে হইছে ।
- তাহলে তো তুইদ অবোধ না নির্বোধ । সরল না গাড়ল । মিষ্টি না, আস্ত একটা অনাসৃষ্টি ।
= ও তাই না ?
বলেই আমার মাথা বরাবর থাবা চালিয়ে দিল, শান্ত সুবোধ নিল ।
আমার বন্ধু নিল ।
গান গায় কিন্নর কন্ঠে । দারুণ রসিক বটে । হাসলে পাখ-পাখালি কিচির মিচির লাগিয়ে দেয় ।
= এই তুই থামত, পাস কই এসব ? ছাই পাশ হাবি জাবি ।
- তোকে দেখলে আমার মনে অঙ্কুরোদগম হয় ।
= কি ? গম ?
- অঙ্কুর উদিত হয়ে গাছ গজায় ।
= থাম তো ।
থেমে গেলাম । আদতে আমার বন্ধু নিল ।
ডানপিটে হাড়গিলে জটিল সুন্দর একজন মানুষ । বছরে হটাৎ হটাৎ উদয় হয়ে খানিক গল্প করে পরবর্তীর জন্য কিছু রহস্য রেখে যায় । রহস্যের কথা মনে হতে এইমাত্র স্মৃতিতে অঙ্কুরোদগম হল, আমার কয়েকখানা মাসুদ রানা মেরে রেখে দিয়েছে ।
আমার বন্ধু নিল ।
- এই আমার বইগুলো কই?
= কোন বই কিসের বই কেমন বই !
- মাসুদ রানা, স্পাই থ্রিলার, পেপারব্যাক ।
= নাই ।
- নাই মানে কি ?
হি হি হি করে বিটকেলে ভেসে এল ।
- দাত ফেলে দেব থাপড়ে । আমার বই পাঠাই দাও এখনি এখনি এখনি...
= ও তাই না ?
এই হল আমার বন্ধু নিল ।

Wednesday, June 18, 2014

একাল বিকালের গল্প

= এখন কি কাল ?

- কাল না বিকাল এখন ।

= না মানে ঋতু , কোন ঋতু ?

- বর্ষাকাল । ক্যা? কি হল ?

= কিসেব করি । ২৭ টা বর্ষা কাটাইছি ।

- ভাল তো । কম কি ।

আসলে কম না । অনেক গুলা বর্ষা । গ্রীনরোডে রিকশাতে চড়ে নীলক্ষেতের দিকে যাচ্ছি । একাই রিকশাতে । কাধে আধামণ ওজনের ল্যাপটপ । আসুস ল্যাম্বরগিনি ভি এক্স ৭ । ওজনের ভারে নুইয়ে গেছি, এমনি ছোটখাট আমি । লুতুপুতু চেহারার ছোট ছোট মেয়েপিলে মা বাপের সাথে ঘরমুখি । ব্রইলার মুরগির মত ফার্মে বড় হচ্ছে এরা । কেউ রেইঙ্কোর্ট পরনে । হটাত হাসি পেল, গতদিন বৃষ্টিতে ভিজে গোসল হয়ে অফিসে ঢুকছি । এদের চেহারতে বলে এসিতে বসে শুয়ে সিরিয়াল দেখে মানুষ হয়ত অধিকাংশ । এরাই ভবিষ্যতের কর্ণাধার । কাদা আর ঘাসের খিচুড়ি তে সাদা কাল জামা পরনে জেব্রার মত করে মায়ের তাড়া খেয়ে নদীতে ঘন্টা চুক্তি ডুব মেরে চোখ লাল করে ভদ্র কুচে মুরগির মত লুকিয়ে ঘরে ফিরে নামাজ পড়ে ভাল মানুষ সাজার থ্রিল এদের কেউ বোঝাতে পারবে না । এরা হয়ত বিশ্বাস ই করবে না । বিশ্বাস করত যদি ডোরেমন ঝুলি থেকে বের করে বলত ।

= হুম তা কি পেলি?

- পাওয়া না পাওয়া কি । অঙ্ক সবসময় মিলে গেলে মজা পাওয়া যায় না ।

= হয়ত ।

- ক্যান বিশ্বাস হচ্ছে না ?

= কনফিউশন । পুরাটায় কনফিউশন ।

- কিছুই না ।

প্রতি জুনের ১৬ তারিখ বিকাল মন কালো করে বসে থাকি সন্ধ্যা নামবে কখন । এবার ব্যাতিক্রম হয় নি ।

= তাহলে ছুটি নেওয়া কি কারণে ?

- শোক পালনের জন্যে ।

= কিসের শোক রে ?

- কিছু পাওয়া না পাওয়ার ।

= হু এটা বুঝলাম । বুড়োরতি আর কি । পাইতে চাওয়ার মত কি আছে ?

- এই যে আমার মত বয়সে কতজন কতকিছু করে ফেলসে, আর আমি এখনি ছা-পোষা মানুষের মতন হয়ে গেছি ।

= ধর এটাই তোর পাওনা । কি আর করতি? কতজনই বা পারে ছা পুষতে । জন্ম হয়ছে একালে, তো ভাবিকালের চিন্তা না করে যে কালে আছিস এটা নিয়ে চিন্তা করলে সমস্য কোথায় ?

- জন্ম আমার একালে না বিকালে জানি না ।

= হয়ত হয়ত না । কেই বা পারছে তার সব হিসাব মিলাতে? আমি তুই সবায় আসলে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার । পেছনে এস বা ইএস যোগ কর সব মিলে যাবে । 

Wednesday, April 9, 2014

অসমাপ্ত গল্প

সকালের ভেদাভেদ আছে । ঝকঝকে রোদের তপ্ত বর্ষা জানালার ফাক দিয়ে এসে তাতিয়ে যাচ্ছে । সকাল হয়েছে বোঝার জন্যে বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। আমার এই এক ফালি রুমে আর কিছু না হোক রোদ বৃষ্টি তুষারপাত স্পষ্ট বোঝা যায় । মনে হয় কিছু জিনিস বাঙালি রক্তের বল আর ইন্টুউশনাল কোন কিছু জানি না এমনিই হয়ে যায় এদের । মাথার দিকে বড় কাচের জানালা । আমার এক ফালি নিজস্ব আকাশ । পিটপিট করে চেয়ে দেখলাম সাতটা বাজে । বিলেতি সাহেবরা এতক্ষণে জগিং সেরে ব্রেকফাস্ট করে পেপারে মুখ ডুবিয়েছে , কেবল বয়সীরাই । আমার মত দৌড় ভাগা ব্যাক্তি বর্গ হয়ত উঠে নিজের জন্যে বউ বাচ্চার জন্যে ব্রেকফাস্ট বানায় ফেলছে । ব্রাশ করতে করতে সকালের ফিলিংস্টা নিতে শুরু করলাম ।

দুই এক্কে দুই, দুই দুগুনে চার । এখন তো কেউ নামতা পড়ে না । স্মার্ট জামানা কিনা । পয়দা হতেই সব জেনে আসে, বর্ণ ফর ইন্টারনেটের যুগ । কথাটা মনে আসর কারন আছে । কমোডে বসে নিচ তলার ফ্ল্যাটের সদ্যজাত বাচ্চার কান্নার মিউ মিউ কানে আসছে । হে হে হে র‍্যাপ এর মত শোনা যাচ্ছে মনে হচ্ছে । মি ই ইউ ইউ ইউ মি ইউ ইউ… ফ্ল্যাশ ছেড়ে দিলাম । ড্রামের আওয়াজে পরিষ্কার করে নিয়ে গেল পানি । বাচ্চার আওয়াজ কানে আসতেছে না , বিলাতে মা মনে হয় মুখে ফিডার ভরে চুপ করাই দিছে । পরচর্চা করা নিন্দনীয়, মনের ভেতর থেকে গাইয়া মাষ্টার মনে করিয়ে দিল । একদিন এই মাষ্টার বেটার সাথে বৈঠক করা লাগবে, বেটা যখন তখন হুট করে এন্ট্রি মেরে বসে ।

হাতে হেলমেটটা নিয়ে গ্যরাজে ঢুকলাম ।  এই একটা জিনিস মজা পাই আমি বরাবর, দামি ঝা চকচকে গাড়ীগুলার পাশে আমার ক্যননডেল সি এ ডি এক্স বাইসাইকেল সগৌরবে দাড়ীয়ে আছে । বুকের কাছে হেলমেট ধরে খানিক ওটার সিটে হাত বুলিয়ে নিলাম । আমার কাছে মনে হয় এটা আমার সযত্নে পালা ঘোড়া ,পিঠে ওঠার আগে স্যাডলে হাত বুলিয়ে নিলাম আর কি ! রোদে বের হলে এটার সিলভার মেটাল বডি থেকে কেমন জানি রোদ ঠিকরে বের হয় ।

চিড়বিড় করে উঠল টি শার্টের নিচে বাদামী ত্বক । বাংলাদেশী বর্ষাকাল আর ইউরোপের শীতকাল আমার দু চক্ষের বিষ । এখন যেটা চলে, বেশ ভাল লাগে । সেলুলারটা দুই হাত পা তুলে পকেটে নাচা নাচি করতেছে । সাইড করে দাঁড়িয়ে গেলাম, বের করে দেখি নিকিতা ।

- ইয়াপ নিক

সুন্দর রুশীটানে নিকিতা বলে গেল কিছু ইন্সট্রাকশন । মায়ামায়া ঢং আছে এই মহিলার কন্ঠে ।

- ওকে ।

এমনিতে অফিসের সবাই আমাকে জানে স্বল্প বাকের মানুষ, আদতে আমার এদের সাথে কথা বলতে কেমন জানি লাগে তাই বলি না । ভাবনা করার মত কিছু না । প্রজেক্ট চিফ খুজতেছেন । ঘড়ি দেখে মনে হল পিপড়ার মত গুটি গুটি বাকাচোরা ঠ্যাঙে সময় দোড়াচ্ছে । ওকে তো বললাম কিন্তু কতখন লাগবে কে জানে।

অফিসে ঢুক্তেই পেন্সিল চাবাতে চাবাতে হাফ চাইনিজ চিন হাই দিল । ওর পুরা নাম জিয়াং লি চিন । আমি নাম দিসি চিজ । মখমলের মত চামড়া, হলদেটে ফর্শা, কালো মণির অধিকারী চিন। ওর মাথা বটে একটা যেকোনো পুরুষের ঈর্ষার যোগ্য । কাচের দরজা ঠেলে ঢুকে মর্নিং বলে আমার বিলেতি বসেকে সম্ভাষণ দিলাম । আদেও এই বেটা মর্নিং এর মানে বঝে কিনা সন্দেহ । না আসলে ঘুমাই কম শুনেছি, ঘুমের মধ্যে বেচারা এপ এর বাগ বের করে বলে মিথ আছে ।

= মর্নিং আমিন ।

আমার নাম আমিন আহমেদ । বিলেতিরা আমার নাম ধ্বংস করার আগে আমি বলে দিসি আমারে আমেড বলে ডাক আমি পছন্দ করি না । বস কিছু বলার আগেই বললাম নিক আমাকে জানিয়েছে , জাস্ট আধা ঘন্টা দিতে হবে প্রিপারেশন এর জন্যে ।

= ওকে সান রক দ্যা ফ্লোর । চোখ টিপে দিল সাদা চামড়া ম্যানফ্রেড প্লিটারস্কি ।

কপাল আমার মন্দ বলিয়াছেন নিত্যানন্দ । মনে চাইতেছে এক কাপ মিষ্টি কফি । বানায় খাওয়া লাগবে , দরকার নাই ,৩০ মিনিটের মধ্যে একটা প্রেজেন্টশন এর জন্যে ফ্লোচার্ট, স্লাইড ইত্যাদি ইত্যাদি বানান লাগবে । আমার ডেস্কে বসে যেড আকারের পেপারওয়েটখানা সরিয়ে বসলাম । ডুব দিলাম কাজে । মিনিট পনের পরে সামনে তাকিয়ে দেখি নিকিতা । মিষ্টি হাসি দিলাম । ও দেখি সাদা লাল হরেক রঙের ডিজাইনের মগে কফি নিয়ে এসেছে । দুই কাপ ; আমার দিকে একটা বাড়িয়ে দিল ।

- থ্যাঙ্কস নিক মুয়াহ । একটা উড়ন্ত চুমু ছুড়ে দিলাম । ব্যাপারটা দেখে ছেলে মানুষের মত খিল খিল করে হেসে দিল চল্লিশোর্ধ নিকিতা । নিঃসঙ্গ থাকে ও । তবে ওর পড়াশোনার গতি প্লাস ধারনা করার গতি এত দ্রুত, যাকে বলে তাক লাগান । ও কফির কাপ দিয়ে চলে গেল, কারন আমি কথা বলি এমনিতেই কম তার উপরে ব্যাস্ত ।

কাজ শেষ করে দেখি পাশের ডেস্কের সহকর্মী লুইস হবস হাজির , ব্যাটা স্প্যানিশ । হবস কে বললাম মিটিং এর কথা । চিবিয়ে চিবিয়ে থাঙ্কস দিল । বুঝলাম রাতের হাঙ্গভার কাটে নাই ওর ।

Friday, February 14, 2014

একটি অপুরনাঙ্গ ভালবাসা দিবস কাহিনী

সাত সকাল না, সাড়ে সাত সকালে উত্তরা থেকে রউনা দিলাম । অফিস এর উদ্দেশে । দুর্ভাগ্য প্রভাতী, স্কাইলাইন, কিম্বা আজমেরি এক্টাও পাইলাম না । ২৭ এ ভর করে উঠে পড়লাম । ভাবতে পারি নাই এত ভালুবাসা আমার কপালে আজকে ছিল !

রওনা হবার ৫ মিনিট পর শুরু হল সিগনাল দিয়ে । তারপর জ্যাম । মনে হইল সকাল থেকে ভাল বাসার ধুম পড়ছে । তারউপর পিকনিক এর পিনিক । ধিরে সুস্থে আসতে আসতে চউরাস্তার কাছা কাছি স্যার এর কল, কৈ আপনি ? উত্ত্র শুনে স্যার এর প্রথম কথা দ্রুত অফিসে যান প্রবলেম হয়সে । স্যার রয়েছেন সাতক্ষিরা, উনি বললেন প্রবলেম তার মানে সিরিয়াস । আমার তো ডানা নাই । বিরক্তির শুরু । চৌরাস্তা পৌছাইতে পৌছাইতে কল আসা শুরু । বড় বড় স্যারদের কল । মা কছম হাই বি পি উঠে যাবার উপক্রম । শফিপুর এসে আর নরে না গাড়ী । তারুপ্রে অফিস থেকে হুমকি । শেষমেশ সফিপুর থেকে হাটা স্টার্ট । হেটে এসে অফিসে ঢুকতে ঢুকতে হেডফিস এর কল । ওকে । হূড়মুড় করে এসে বড় স্যার কে স্বান্তনা দিলাম স্যার দেখতেসি আই এস পি এর প্রবলেম কথা বলসি । দ্রুত করেন । আমি সুপারম্যান হইলাম না ক্যান !

ব্যাকআপ লাইন দিয়ে শুরু হইল লাইন । চলতাসে আমি কাত …

দ্বিতিয় অধ্যায় ঃ

লিফট এর মধ্যে দুই বড় ভাই এন্ড সিনিয়র অফিসার এর সাথে দেখা । মিন্টু ভাই আর সোহেল ভাই । মিন্টু ভাই সোহেল ভাইরে বোঝাইতেসেন

> রাতে ভিজিয়ে রাখবেন, সকালে ভাল করে ধুয়ে ফেললে ফরমালিন সব নষ্ট হয়ে যাবে ।

সোহেল ভাই একমত পোষণ করলেন ।

আমার প্রশ্নঃ

- মিন্টু ভাই ফরমালিন যুক্ত মানুষের ক্ষেত্রে কি একই কথা প্রযোজ্য ?

= হ্যা Open-mouthed smile 

ভ্যাবচেকা খেয়ে আবার প্রস্নঃ

- ভাই ফরমালিনযুক্ত মানুষ দেখছেন ?

= হ্যা আমার জামা ধরে উত্তর দিলেন Open-mouthed smile যাদের উজন আর আকৃতি বাড়েও না কমেও না Open-mouthed smile একই রকম ফিক্সড, বুড়া হইলেও সেইরকম !

মাথা চুলকাইলাম, খুশি হব না ব্যাজার?

নিখোজ ভালবাসাঃ

বাইর হয়ে দেখি পাশের খালে একব্যাক্তি খুব আন্তরিক ভাবে ডাইং-এর কালারড ( ডিস্কালারড) পানির মধ্যে গলা ডুবিয়ে কি যেন খুজতেসেন । খালের পাশে দাঁড়িয়ে আরও অনেক ব্যাক্তিত্ব মজা লুটতেসেন । 

= বিষয় কি ? মিন্টু ভাইয়ের প্রশ্ন এবার আমার কাছে । পচা পানির মধ্যে ডুব দিসে ক্যান ?

আমি নিরীহ মানুষের মত উত্তর দিলাম, ভাই হারান ভালবাসা খুজতেসে মনে হয় ।

সোহেল ভাই গলা ছেড়ে হাসি দিলেন ।

= তাই না ? মিন্টু ভাই মনে হল একমত ।

মনে মনে বললাম করি গার্মেন্টস এ চাকরি, ভালবাসা খালের পানিতে ছাড়া কৈ আর খুজব !

Sunday, February 9, 2014

কল্পিত ভ্যালেন্টাইন

রাত সাড়ে ১২ টা , মন প্রাণ দিয়ে গান শুনতেছি । টুক করে ফেসবুক এর চ্যাট উইন্ডো ওপেন ।

- কেমন আছ । দেশ থেকে এক বান্ধবীর নক । চোখ দুইটা বড় বড় কয়ে গেলো আই ডি থেকে । উত্তর দেব কিনা ভাবতেছি । ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট । ১০ বছর পর ও আমাকে নক দিল, ভদ্রতার খাতিরে হলেও উত্তর দেওয়া উচিত । বাট যে ঘটনটা ঘটেছিল তার পরে কি আমার কি করা উচিত আর কি না করা উচিত বুঝতেছি না ।

= ভাল । খনিক ভেবে প্রতিজিজ্ঞসা করলাম । তুমি কেমন আছ ।

- আছি Smile  এই তো তোমার দোয়াতে । স্মাইলি দিয়া কি বুঝাইল জানি না ।

এমির সাথে ব্রেকাপ এর পর আমার অন্য এক বান্ধবীর সাথে বেশ ভাল সম্পর্ক হইছিল । আগে থেকেই বান্ধবী, কিন্তু কিছু ঘটনা আমাদের অনেকদিনের সম্পর্ক ঘুরে যায় । আমি গুরুত্ব দিতাম না হ্রদয়বিত্তিক আবেগ গুলা হারিয়ে গেছিল যন্ত্রের খটখটানির আড়ালে । আসলেই কি জানতাম  না ? হয়তবা স্বীকার করতাম না । হটাত-ই একদিন ওর এক রুমমেট কল দিয়া জিগেশ করে বসে,

= ভাইয়া আপনারা কি চান বলেন তো?

- ক্যান আপু কি হইল ? কি ?

= না ভাইয়া আপুতো আপনারে মনে হয় মনে মনে অনেক লাভ করে । বাট আপনারা কেউ কাউকে বলেন না ।

- তাই নাকি? জানতাম নাত । তুমি কেমনে বুঝলা ?

= দেখেন ভাইয়া এগুলা বুঝা যায় বুঝলেন ।

- না বুঝি নাই । আই থিঙ্ক তোমার আপু এগুলা জানে না, আমার যা যা বলতেছ ।

= না ভাইয়া জানলে মেরে ফেলবে ।

- তাইলে আমার কি করা উচিত ? তোমারে মেরে ফেলব? না যিন্দা রাখব?

= ইচ্ছা আপনার ভাইয়া। আমার মনে হইল তাই জানাইলাম ।

- থ্যাঙ্কস ।

আমি আমার বান্ধবীরে জানাই নাই । দরকার কি ? তবে আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম জেনে এটা আমার বান্ধবীই ওকে বলছিল ইভেন ও পাশে বসে শুন্তেছিল ! কয়েক মাস পরে আমার বান্ধবী হটাত রাতে কথা বলতে বলতে …

- আমারে বাসা থেকে বিয়ে দেওয়ার জন্যে পাত্র দেখছে ।

= ভাল তো । আমার নির্লিপ্ত উত্তর । করে ফেল ছেলে ভাল হলে।

- হ্যা । বাট প্রব্লেম আছে ।

= কি?

- তুমি আমারে বিয়ে করবা ?

= খাইছে ক্যান ?

- না মনে হইল তোমাকে বিয়ে করাই যাই । ছেলে খারাপ না, একটু খাট তুমি, বিড়ি ছাড়া অন্য কিছু খাও না । এন্ড অন্য মেয়েতে আসক্তি নাই!

= এহেম এহেম ভাল তো ! আমি এরকম জানতাম-ই না !

- তোমার জানা লাগবে না । আমি জানলে চলবে । কাল এস বিয়ে করব , তোমাকে । এখন রাখি , ঘুম পাচ্ছে ।

= ওকে বাই ।

সে বয়েস তো নাই তলপেটে প্রজাপতি নাচবে । ঘুম নষ্ট হওয়ার বয়েসও চলে গেছে । শান্ত মনে ঘুমিয়ে গেলাম । পরদিন খেয়ালই ছিল না । রাতে মনে হতে কল দিলাম , নাম্বার বন্ধ । ভাবলাম হয়ত টিউশনি করতে গেছে । পরেরদিন রাতে সেম ঘটনা । হুম , ভাবলাম বিষয়টা সিরিয়াস হতে পারে । কি করি । ওর রুমমেট এর নাম্বার এ কল দিলাম ।

- হালো আপু , আপনার রুমমেট নাই ওর মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি কাল থেকে ।

= জি ভাইয়া ও তো নাই, চলে গেছে ।

- কৈ গেছে ! হতবাক আমি ।

= বাড়িতে ।

- মানে রংপুর ? !

= জ্বি ভাইয়া ।

- হটাত !? কিছু হইছে নাকি বাড়িতে ?

= জ্বি ভাইয়া, আপুর বিয়ে ছিল আজকে দুপুরে ।

দশ বছর অনেক সময়; ইউরোপের আকাশের জ্বলজ্বলে তারাগুলা মিটমিটিয়ে জানান দিল ।

সুমাইয়া তারান্নুম ইজ অফলাইন । আরও দশ বছর ? দোষ কি অপেক্ষা করতে ?

Monday, February 3, 2014

বলে ফেলা অনেক কথা ।

= গল্পটা কিসের তোর ?

- কিছুর না । এটা গল্প ।

= আজিব বাপ, কি নিয়ে? সেটা তো বলবি?

- হুম । আকাশ বাতাস নদ-নদী পাখ-পাখালী ব্লা ব্লা ব্লা ।

= আজাইরা পেচ দিস না ।

- আজিব কবে পেচ দিলাম ? তুই তো জন্মাইসত জিলাপির মত, তোর ধাই মারে জিগাশ তো তোরে স্ক্রুড্রাইভার দিয়া বার করছিল কিনা । হা হা হা

= তুই না আসলে মানুষ না । তুই তুই তুই…

- কি কি কি হা হা হা হা । প্রাণখোলা হাসির শব্দে ডালে বসে ডাকতে থাকা কাক শুন্যে উড়াল দিল ।

= হুর তোর সাথে কথা বলা যাই না ।

- তো বলিস ক্যান ? তোরে তো বলতে বলি নাই ।

= দেখ বাপ সিধা করে বলবি ? কি হইছে?

- খাড়া আগে আমি নিজে সিধা হইতে শিখি , হা হা হা…

= অই তোর কি হইছে কি ? কিছু খাইয়া আইসশ?

- হ এক গামলা পান্তা খাইসি । বুয়া আসে নাই, কালকের রাতের ভাত পানি দিয়া রাখছিলাম । হেব্বি মজা কইরা ভাজা মরিচ দিয়া খাইছি ।

= ক্যান তোর বুয়া কৈ গেছে?

- আমি ক্যাম্নে কমু কৈ গেছে ?

= বেতন টেতন ঠিক ঠাক দিস তো? দেখ পালাইছে তর মত বজ্জাত এর কাজকর্ম করব কে !

-    উপহাস কোরোনা নন্দিনী , এদিন এলে পর ঠেলা বুঝবানি !

= হু হু কবিত্ব করন লাগত না । নুডুলস খাবি ?

- স্রিফ দো মিনিট মে…

= অফ যা । এটা ফেব্রুয়ারী মাস হারামি ।

- তো ? থুক করে ঘাসের ডগা গাল থেকে বের করে দিল ।

= তো কি ভাষার মাস বাংলাতে কথা বলবি , হিন্দি ফুটাশ ক্যা?

- তো ?

= হিন্দি আর উর্দু একই ।

- হ মাইয়া মানুষ আর পেচাল একই কথা । তাইলে তুই ফেব্রুয়ারীতে কোন হিন্দি সিরিয়াল দেখবিনা ।

= কি !!!!

- নন্দিনী… ভুল কিছু শুননি ।

= হারামি 

- অইটা আমার বাপে অনেক আগেই কইছে রিপিট করার দরকার নাই ।

= তুই আর তোর বাপ, দুইজনরেই চিড়িয়াখানাতে রাখা উচিত বুঝলি ।

- ভুল কইলি আমাদের কম্বিনেশন আরকাইভভুক্ত করা উচিত । আর দুইটা পাওয়া যাবে না ।

তারপর কাধের ব্যাগ দিয়ে মেয়েটির আক্রমণ ! তরুনের দুইহাত দিয়ে ঠেকানর প্রচেস্টা । দৈনন্দিন রুটিন খানিক পর দুইজন যার যার ডেরায় ফিরে যাবে । আর আমি ? এই আছি দাঁড়িয়ে । অচল, অথর্ব । অনেকে আমাকে নিষ্প্রাণ বলে হা হা হা হা আসলেই কি আমি? এস না, চলে এস একদিন ক্যাম্পাসের ঘেসো কার্পেটে । আমাকে দেখতে পাবে । শত বছরের পুরান বিল্ডিং আমি, আমি কালের অভুক্ত গ্রাস ।

প্রপোজাল

রাত ১১ টা বেজে ৫০ ।

বাংলালিংক পোস্টপেইড নাম্বারে কল । কেরে বাবা এত রাতে !

মোবাইল উঠিয়ে দেখি আনসেভড নাম্বার থেকে কল । কেটে ব্যাক দিলাম । হাতে বিড়িটা নিয়েই বারান্দাতে দাড়ালাম ।

- হ্যালো … কি অবস্থা

= হ্যালো ঘুমাই পড়ছ ? – ওপার থেকে আগেই জিজ্ঞেশ করে নিল । বুঝালাম আমার একমাত্র বান্ধবী !

- নাত ক্যান? ফুক দিয়ে ধুমা ছেড়ে দিলাম । ক্যাবল মাত্র কম্বল ঝেড়ে সটান করছি একটু পরে ঘুমাব ।

= আচ্ছা ঘুমাইও না । সিরিয়াস একটা কথা আছে ।

- ওকে । বল শুনি তোমার সিরিয়াস কথা । আমার তলপেটে চাপ চাপ কিছু না বলে সিরিয়াস কথা শুনতে দাড়াই গেলাম ।

= আমি যদি ২০,০০০ হাজার থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে একটা চাকরি পাই, আর তোমার বেতনে সংসার চলবে না? আগ্রহী কন্ঠে প্রশ্ন ।

- ক্যান চলার তো কথা ।

= ভালো ।

- বাট তুমি আমারে টাকা দিবা ক্যান?

= আমার ইচ্ছা ! জেদি উত্তর ।

- বুঝলাম তোমার ইচ্ছা, তাই বলে আমারে ক্যান?

= আমার ইচ্ছা ।

- আরে বাবা বয়েস হইছে এটুকু তো বুজছি , মানুষ কেউ কাউরে তো এম্নে এম্নে কিছু দেই না আর টাকার পয়সার ম্যাটার তো ভেরি ড্যাঞ্জারাস ! আমি ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা কন্ঠে বললাম ।

= শোন বেশি চালাক হইতে যাবা না ।

- এতে চালাকির কি দেখলা?

= জবাব চাইছি জবাব দিবা , তোমার বিদেশ না গেলে হবে না ?

- উমমম… চিন্তার বিষয়, চিন্তা করে ফোন দেই?

= না আমার এখনি উত্তর লাগবে ! আবার জেদি কন্ঠে ওপাশ থেকে । আমার বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেলছে ।

- খাড়াও এইটা কি কইলা ? !

= হু সাংবাদিক বেটা বাসাতে কি সব বলছে ।

- উস কি মাকি…

= কি?!!!

- কিছু না আমি বাথরুম থেকে ঘুরে এসে উত্তর দেই? আমার জোর তাগিদ তলপেটে ।

= তুমি একটা …

- আমি যায় হয় আগে বাথরুম ………… ওপাশ থেকে অলরেডি লাইন কেটে দিছে ।

Sunday, January 26, 2014

মোবাইল কথোপকথন #১

- একথা সত্য ?

= কি কথা ?

- বান্দরে কামড়াইলে ইঞ্জেকশন দেওয়া লাগে ?

= যতদুর জানি হ্যা ।

- হি হি হি

= আসলে কি জানো , বান্দরেরা তো ব্রাশ করে না তাই …

- হি হি হি হি …

Monday, January 20, 2014

Two Factor Authentication আর ghuni

“- আসসালামু আলাইকুম স্যার ।
= অলাইকুম আসসালাম , কে বলছেন প্লিজ ?
- স্যার আমি ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক থেকে ***** *** বলছিলাম । আপনি আমাদের এখানে আমাদের একটা এপ্লিক্যাশন করেছেন স্যার । আমি ভেরিফাই করার জন্যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম ।
= হ্যা শিউর , কি জানতে চান প্লিজ বলুন ।
- স্যার আমাদের Two Factor Authentication এর জন্যে আপনার একাউন্টে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংটা চালু থাকা লাগে , দুখিতঃ স্যার আপ্নারটাতে নাই ।
= জি নাই, এখন কি করা লাগবে ?
- জি আপনার হোম ব্রাঞ্চ এ গিয়ে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংটা চালু করে নিবেন, এক থেকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে আমরা আপনার এপ্লিক্যাশন এর ভিত্তিতে সারভিসটা চালু করে দিব , , , , ইত্যাদি ইত্যাদি…
আর স্যার এই পারপজে আপনার একাউন্ট থেকে বাৎসরিক ২০০ টাকা কেটে নেওয়া হবে ।
= জি ! কত ! ?
- স্যার ২০০ টাকা ।
= ওকে আমি আমার ব্রাঞ্চ এ গিয়ে প্রথম থেকে স্টেপগুলা শুরু করে নেক্সট এ রি-এপ্লাই করবখন । থ্যাঙ্ক ইউ ।
- ইউ আর ওয়েল্কাম স্যার । “
Google, Facebook, Twitter, Yahoo, Evernote, Last pass, WordPress ইত্যাদি ইত্যাদি সার্ভিস প্রভাইডার রা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে । ম্যাক্সিমাম তো নন প্রফিটাবল । ( পেইড সার্ভিস যারা গ্রহন করেন তাদের কথা আলাদা ) । Two Factor Authentication টা হয় স্মার্টফোন অ্যাপ অর মোবাইল এস ম এস এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে । এস ম এস সার্ভিস এর জন্যে হইত কিছু টাকা খরচ হবে । অ্যাপস এর ক্ষেত্রে অনেক ফ্রি প্লাগিন্স অর কোড এভেলএবল (যতদুর জানি আর কি ; আমি সবজান্তা সমশের না) ।
প্রথম প্রথম আমি গুগল এর Two Factor Authentication চালু করার পর মজা করে বার বার রিসেন্ড করে গুগল থেকে এস ম এস পেতে মজা পেতাম । বাট পরে আর করি না
এত কথা খরচ করার মানে বলতে চাচ্ছি, ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক কোন সুবাদে ২০০ টাকা কাটবে? এম্নিতে তাদের বাৎসরিক সার্ভিস চার্জ কাটতেছে । আবার খাড়ার ঘা ! এস ম এস সার্ভিস সবাদে গ্রাহক এর মোবাইল অপারেটর থেকে মিনিমাম চার্জ কেটে নিতে পারত ! অ্যাপস এ তো কোড জেনারিটিং এ কিছু খরচ হয় না !
আমার ছোট মাথাতে কিছু ঢুকতেসে না ! আবার সিকিউরিটি বলে কথা ! চাইনিজ তালাতে তো ভরসা হয় না !
** বিঃ দ্রঃ এটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত চিন্তাভাবনা । আমি শিখলাম মামু হওয়া এত সোজা না , অখানেও পাত্তি লাগে !